উচ্ছেদযোগ্য দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র
প্রথম পক্ষ ডা: রায়হান চৌধুরী, পিতা: মরহুম আব্দুল হাফিজ চৌধুরী, ঠিকানা: নূর প্লাজা, ৪২ জিয়া সরণী রোড, কদমতলী, ঢাকা-১২৩৬ এবং দ্বিতীয় পক্ষ:
নাম:
বর্তমান ঠিকানা:
স্থায়ী ঠিকানা:
ব্যবসার ধরন:
মোবাইল ফোন নং:
হোয়াটসঅ্যাপ নং:
জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর:
ভাড়াকৃত দোকানটির ঠিকানা: নূর প্লাজা, ৪২ জিয়া সরণী রোড, কদমতলী, ঢাকা-১২৩৬। দোকান নম্বর:
চুক্তির মেয়াদ শুরুর তারিখ:
চুক্তির মেয়াদর শেষ তারিখ: Text
জামানত:
মাসিক ভাড়া: শুরুর তারিখ: Text
বার্ষিক ভাড়া বৃদ্ধি:
মাসিক ভাড়া: শুরুর তারিখ: Text
মাসিক ভাড়া: শুরুর তারিখ: Text
এলাকাভিত্তিক পাহারাদার চার্জ:
পানি চার্জ:
কমন চার্জ:
বিদ্যুৎ বিল: ভাড়াটিয়া নিজ দায়িত্বে প্রি-পেইড মিটার ব্যবহারের মাধ্যমে পরিশোধ করবেন।
চুক্তির শর্তাবলী:
১। দ্বিতীয় পক্ষ প্রতি মাসের ভাড়া, কমন চার্জ, পানি চার্জ, পাহারাদার চার্জ ঐ মাসের শুরুতে মাসের ৫ (পাঁচ) তারিখের মধ্যে মালিকের ব্যাংক একাউন্টে পরিশোধ করিবেন এবং পেমেন্ট রিসিপ্ট মালিক এবং ম্যানেজারের হোয়াটসএপ একাউন্টে পাঠিয়ে দিবেন । দ্বিতীয় পক্ষ প্রথম পক্ষ অথবা প্রথম পক্ষের প্রতিনিধির সাথে কখনই নগদ টাকা লেনদেন করিবেন না।
২। দ্বিতীয় পক্ষ জামানতের টাকা অথবা ইহার অংশ কখনই মাসিক ভাড়া অথবা বিল হিসাবে প্রথম পক্ষকে পরিশোধ করিতে পারিবেন না। এই চুক্তির মেয়াদ শেষে দ্বিতীয় পক্ষ দোকান এবং দোকানের চাবি দোকান নেওয়ার অবস্থায় মালিক অথবা মালিকের প্রতিনিধির নিকট বুজাইয়া দেওয়ার ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে প্রথম পক্ষ তার পাওনা (যদি থাকে) কেটে জামানতের সম্পূর্ণ অথবা বাকী টাকা দ্বিতীয় পক্ষকে ফেরত দিবেন।
৩। দ্বিতীয় পক্ষ চলতি মাসের ভাড়া, কমন চার্জ, পানি চার্জ, পাহারাদার চার্জ ঐ মাসের শুরুতে মাসের ৫ (পাঁচ) তারিখের মধ্যে প্রথম পক্ষকে পরিশোধ করিতে ব্যর্থ হইলে, মাসের ৬ (ছয়) তারিখ হইতে তা পরিশোধ না করা পর্যন্ত প্রতি দিনের জন্য ১০০/-(একশত টাকা) হারে বিলম্বিত বা লেট ফি জরিমানা হিসাবে প্রথমপক্ষকে দিতে বাধ্য থাকিবেন।
৪। দ্বিতীয় পক্ষ মাসের ১০ (দশ) তারিখের মধ্যে ঐ মাসের ভাড়া কমন চার্জ, পানি চার্জ, পাহারাদার চার্জ এবং আগের মাসের বিদ্যুৎ বিল সম্পূর্ণ পরিশোধ করিতে ব্যর্থ হইলে তাহা পরিশোধ না করা পর্যন্ত প্রথম পক্ষ, দ্বিতীয় পক্ষের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করিতে পারিবেন। এই ব্যাপারে দ্বিতীয় পক্ষের কোন ওজর/আপত্তি/অভিযোগ আদালতে গ্রহনযোগ্য হইবেনা।
৫। দ্বিতীয় পক্ষ মাসের ১৫ (পনের) তারিখের মধ্যে ঐ মাসের ভাড়া কমন চার্জ, পানি চার্জ, পাহারাদার চার্জসহ সমস্ত বিল পরিশোধ করিতে ব্যর্থ হইলে অত্র চুক্তি বাতিল হইয়া যাইবে। এমতাবস্থায়, প্রথম পক্ষ অত্র দোকান নতুন ভাড়াটিয়াকে দেখাইতে এবং ভাড়া দিতে পারিবেন এবং দ্বিতীয় পক্ষ পরবর্তী মাসের শেষ তারিখে প্রথম পক্ষের সম্পূর্ণ বকেয়া পরিশোধ করিয়া দোকান ছাড়িয়া দিতে বাধ্য থাকিবেন।
৬। দ্বিতীয় পক্ষ ভাড়াকৃত দোকানে কোন প্রকার পরিবর্তন করিতে পারিবেন না এবং যে অবস্থায় দোকান গ্রহন করেছেন মেয়াদশেষে সে অবস্থায় প্রথম পক্ষকে বুঝিয়ে দিবেন।
৭। দ্বিতীয় পক্ষ অত্র দোকান তৃতীয় কোন পক্ষের নিকট সাব লেট অথবা হস্তান্তর করিতে পারিবেন না।
৮। বিদ্যুৎ, বাথরুম কার্যোপযোগী রাখা মেইনটেন করার খরচ দ্বিতীয় পক্ষ বহন করিবেন।
৯। দ্বিতীয় পক্ষ দোকানের সামনে পরিষ্কার রাখিবেন।
১০। দ্বিতীয় পক্ষ কোন রাষ্ট্রবিরোধী, সমাজ বিরোধী অথবা প্রতিবেশী অসুবিধা অনুভব করে এমন কোন কাজ করিলে অত্র চুক্তি সঙ্গে সঙ্গে বাতিল হইবে।
১১। দ্বিতীয় পক্ষ সরকারী আইনে দোষী সাব্যস্থ হইলে বা কোন কারনে পুলিশী ধরপাকড়ের শিকার হইলে বা সামাজিক বিচারে দোষী সাব্যস্ড হইলে অত্র চুক্তি বাতিল হইবে।
১২। দ্বিতীয় পক্ষ কোন কারণে ১৫ (পনের) দিনের বেশি সময়ের জন্য নিরদ্দেশ হইলে /নিখোঁজ হইলে/জেলে গেলে এই চুক্তি বাতিল বলে গন্য হইবে।
১৩। যে কোন পক্ষ যে কোন সময় দুই মাসের নোটিশে কোন কারণ দর্শানো ছাড়াই এই চুক্তি বাতিল করিতে পারিবেন।
১৪। এই চুক্তির মেয়াদ শেষে অথবা চুক্তি বাতিল হইলে অত্র দোকান পূর্ব অবস্থায় ফেরত আনতে যত টাকার প্রয়োজন তা কেটে রেখে ও বকেয়া ভাড়া/অন্যান্য চার্জ/জরিমানা কর্তন করে ১ম পক্ষ জামানতের বাকী টাকা দোকান প্রথম পক্ষকে বুঝাইয় দেওয়ার ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে দ্বিতীয় পক্ষকে ফেরত দিবেন।
১৫। এই চুক্তির মেয়াদ পূর্ণ হলে অথবা যে কোন কারণে এই চুক্তি বাতিল হইলে, দ্বিতীয় পক্ষ ভাড়াকৃত দোকান প্রথম পক্ষকে বুঝিয়ে দিতে ব্যর্থ হইলে প্রথম পক্ষ দোকানের মালামাল সমূহ বাজেয়াপ্ত করিতে পারিবেন, মালামাল সহ দোকান নিজের হেফাজতে নিতে পারিবেন, দোকান খালি করিতে পারিবেন, দোকান তালা লাগিয়ে দিতে পারিবেন এবং দোকান অন্যত্র ভাড়া দিতে পারিবেন। এই বিষয়ে দ্বিতীয় পক্ষের কোন দাবী/গুজর আপত্তি/অভিযোগ আইন প্রয়োগকারী প্রতিষ্ঠান/সংস্থা এবং সর্ব আদালতে গৃহীত হইবে না।
১৬।এই চুক্তির মেয়াদ পূর্ণ হইলে অথবা যে কোন কারণে অত্র চুক্তি বাতিল হওয়ার পরও দ্বিতীয় পক্ষ ভাড়াকৃতদোকান প্রথম পক্ষকে বুঝিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত প্রতি দিনের জন্য ২০০০/- (দুই হাজার ) টাকা হারে ভাড়া প্রথম পক্ষকে পরিশোধ করিতে বাধ্য থাকিবেন। এছাড়া দ্বিতীয় পক্ষকে উচ্ছেদ করার জন্য উকিল খরচ, কোর্ট ফিসহ যাবতীয় খরচ দ্বিতীয় পক্ষ প্রথম পক্ষকে দিতে বাধ্য থাকিবেন।
১৭। প্রথম পক্ষ এবং দ্বিতীয় পক্ষের মধ্যে ইমেইল, ওয়াটসএপ অথবা অন্য যে কোন ইলেকট্রনিক মাধ্যমে যে কোন যোগাযোগ, স্বাক্ষর এবং অনুমোদন আদালতে গ্রহণযোগ্য দলিল হিসাবে গৃহীত হইবে।
১৮। এই চুক্তিতে লিখিত শর্তসমূহের বাহিরে এই চুক্তির আগে অথবা পরের মৌখিক যে কোন প্রতিশ্রুতি/ওয়াদা/শর্ত বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে। ভবিষ্যতে এই দলিলে লিখিত চুক্তির বাহিরে মালিক এবং ভাড়াটিয়া উভয়ের লিখিত চুক্তি/দলিল ছাড়া মৌখিক কথা/প্রতিশ্রুতি দলিল হিসাবে গ্রহনযোগ্য হইবে না।
*পানির বিল দোকানদারদের ব্যবহার এবং সরকারি বিল এবং চার্জ অনুযায়ী সময়ে সময়ে সামঞ্জস্য করা হইবে। **কমন চার্জঃ সিকিউরিটি মনিটর এবং সার্ভিসের জন্য কমন চার্জ ধার্য্য করা হয়েছে, এবং এই চার্জ সময়ে সময়ে খরচের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বৃদ্ধি বা হ্রাস করা হবে । *** প্রত্যেক দোকানের ময়লা ডিসপোজ/কালেকশনের ব্যাবস্থা করা প্রত্যেক দোকানের ভাড়াটিয়ার দায়িত্ব ।
আমরা উভয় পক্ষ স্ব-জ্ঞানে সুস্থ মস্তিষ্কে অত্র চুক্তিনামা জানিয়া বুঝিয়া নিচে স্বাক্ষর করিলাম।